ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব জোরদার করা পূর্ব সংবাদ পূর্ব সংবাদ প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ সাধারণ মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে গভীরভাবে নিহিত একটি সংযোগ এখন যেহেতু ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন আমাদের পিছনে, বাংলাদেশকে অবশ্যই দেরি না করে, জাতির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ট্র্যাকে ফিরে আসতে হবে। অগ্রগতির এই নবায়ন পদ্ধতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে আমাদের কূটনীতির উপর জোর দেওয়া এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা। সেই লক্ষ্যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ভারত আমাদের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, এবং এটি মাথায় রেখে, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে অবিলম্বে বলা যে ঢাকা এবং দিল্লি “এমনকি অর্জন করতে সক্ষম হবে তা দেখে উৎসাহিত হচ্ছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে বৃহত্তর গতিবেগ” নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ হাছান মাহমুদের সাথে তার প্রথম বৈঠকের পর। ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক নিছক কূটনৈতিক সৌহার্দ্যের বাইরেও প্রসারিত এবং সাধারণ মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং আকাঙ্ক্ষার গভীরে প্রোথিত একটি সংযোগ — আমরা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভাগ করা উন্নয়নের সাধনায় মিত্র। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সাথে সাথে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা কেবল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই বাড়াবে না বরং উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত বিনিময়কেও উৎসাহিত করবে। এই অর্থনৈতিক সহযোগিতা সাংস্কৃতিক বন্ধনের ক্ষেত্রেও প্রসারিত হয় যা আমাদের জাতিকে আবদ্ধ করে, আমাদের ভাগ করা ঐতিহ্য, উত্সব এবং একটি ভাষাগত আত্মীয়তার সাথে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য উভয় দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। বিকশিত ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। যেহেতু উভয় দেশই জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য সংকট এবং অর্থনৈতিক ওঠানামার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, তাই একটি ঐক্যফ্রন্ট স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে পারে এবং কার্যকর সমাধান দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করা শুধু একটি কূটনৈতিক প্রয়োজনই নয় বরং এটি আঞ্চলিক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং একটি ভাগ করা ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। এই বন্ধুত্ব উভয় দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল, আরও সমৃদ্ধ আগামীকাল নিশ্চিত করে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: