বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ সম্পদ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সুইজারল্যান্ড

প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেনের সাথে ঢাকায় সুইস রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেংগলি সাক্ষাৎ করেন। ছবি: বাসস
  • রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের আরও মানবিক সহায়তার আশ্বাস দেন
  • এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানে আনন্দ প্রকাশ করেছেন

সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি মেনে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জমা রাখা অবৈধ অর্থ ফেরত দিতে পূর্ণ সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেংগলি এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেনের মধ্যে বৈঠককালে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

আলোচনাকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন সুইস ব্যাংকে নির্দিষ্ট কিছু বাংলাদেশি ব্যক্তির অবৈধ সম্পদ সনাক্ত ও উদ্ধারে সুইস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানকে একটি বিস্ময়কর অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে সুইস রাষ্ট্রদূত এই পরিবর্তনকে বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কারের একটি সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেন এবং সংস্কার প্রক্রিয়ায় সুইস সরকারের সমর্থনের আশ্বাস দেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই উদ্দেশ্যে কয়েকটি কমিশন গঠনের অন্তর্বর্তী সরকারের উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন।

উভয় পক্ষই জাতিসংঘের এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানে আনন্দ প্রকাশ করেছে এবং মানবাধিকার এজেন্ডাকে আরও সমুন্নত রাখতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে একটি অভূতপূর্ব সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন এবং নতুন সুইস বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বেসরকারি খাতের আরও বেশি সম্পৃক্ততা এবং সমতল ক্ষেত্র তৈরির প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানান।

বিশেষ করে আইসিটিতে বাংলাদেশি তরুণদের অপার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বিদেশী উপদেষ্টা উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সুইস সহায়তার অনুরোধ করেন।

রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে সুইস পক্ষের আগ্রহের কথা জানান।

উভয় পক্ষই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত জনগণকে তাদের স্বদেশে নিরাপত্তা, নিরাপত্তা ও অধিকারসহ প্রত্যাবাসনই সংকটের একমাত্র সমাধান।

সুইস রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কক্সবাজারের স্বাগতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরও মানবিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

সুইস দূতও সুইস ফেডারেল কাউন্সিলরের মূল অভিনন্দন বার্তাটি বিদেশী উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন।