মিয়ানমারের সংঘাতের মধ্যে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবি

প্রকাশিত: ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
  • বিজিবির ৩টি স্পিডবোট এলাকায় টহল দিচ্ছে
  • এখন পর্যন্ত ১৩৭ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে

মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী বরাবর তাদের সতর্কতা বাড়িয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফ নদী সীমান্তে উন্নতমানের স্পিডবোট দিয়ে জালিয়ারদ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নাফ নদী পার হওয়ার যেকোন চেষ্টা, বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাধা দিতে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। টেকনাফ সীমান্ত পয়েন্টে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। তিনটি বিজিবি। সকাল থেকে নাফ নদী সীমান্তে স্পিডবোট টহল দিচ্ছে। আমরা অনড় যে মিয়ানমারের কোনো নাগরিককে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

একই সঙ্গে মিয়ানমারের মংডু অঞ্চল থেকে ছোট-বড় ট্রলার ব্যবহার করে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা।

বিজিবি কর্মকর্তা একটি রোহিঙ্গা যাতে সীমান্ত দিয়ে পিছলে যেতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চতর সতর্কতার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন: “আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কিছু লোক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। আমরা অননুমোদিত প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার জন্য আমাদের সংকল্পে অটল আছি। সোমবার পর্যন্ত ১৩৭ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আরাকান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সাম্প্রতিক সপ্তাহে বাংলাদেশের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় শত্রুতা বাড়িয়েছে।

এই দলগুলো সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।

এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে, বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ২৩০ সদস্য ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়ে ঘুমধুম সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। তবে তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।