র‌্যাব ডিজি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমার

প্রকাশিত: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
  • ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবের কারণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে’
  • এখন যুদ্ধে যাওয়া মানেই দেশের শেষ, বলেছেন র‌্যাবের ডিজি
  • ‘রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে মিয়ানমার সবসময় বাংলাদেশকে উস্কে দিচ্ছে’

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন শনিবার বলেছেন, মিয়ানমারের জান্তা দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশল অবলম্বন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছে।

“মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে সবসময় বাংলাদেশকে উস্কে দিচ্ছে। তবে, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবের কারণে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল,” তিনি বলেছিলেন।

শনিবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র‌্যাবের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

“এখন যুদ্ধে যাওয়া মানে দেশের শেষ। মিয়ানমারে এখন সামরিক সরকার আছে। তারা আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ করছে। তাই তারা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ঝামেলা করতে চায়,” এম খুরশিদ হোসেন বলেন।

বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট মিয়ানমারকে উল্লেখ করে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, এটা এখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।

“মাদক এখন আকাশপথে, সমুদ্রপথে এবং মিয়ানমার থেকে বেশি আসছে। পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জাল ছড়িয়েছি, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় গ্যাংস্টার এখন জালে, আমরা এখন কিছু করতে সক্ষম হব,” বলেন র‌্যাব কর্মকর্তা।

মাদক নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনো মূল্যে মিয়ানমারের রুট বন্ধ করা হবে। বাংলাদেশে মাদক সবচেয়ে বড় ব্যবসা; মাদক ব্যবসার মাধ্যমে যে কেউ রাতারাতি ধনী হতে পারে। দেশের বিভিন্ন বাহিনীতে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। একক শক্তির পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মূল করতে হলে আমাদের সবাইকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গুলির শব্দে বাংলাদেশের শাপুরী দ্বীপ কেঁপে ওঠে।

শনিবার রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাওয়ায় দ্বীপে বসবাসকারী মানুষ আবারও ঘুমহীন রাত কাটিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলায়ও উত্তেজনা বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।

বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল পড়ে, যার ফলে দুজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়।

এরপর মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াও মোকে তলব করে বাংলাদেশ।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেনও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

উপরন্তু, ২৩ জন মিয়ানমার নাগরিককে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংঘর্ষের মধ্যে যা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।