• ফিলিস্তিনে নির্বিচারে বেসামরিক হত্যার নিন্দা করেছেন
• অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানান

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দেশে গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, “জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাম্য, অন্তর্ভুক্তি, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের নীতি সমুন্নত রাখার দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সকল নাগরিকের জন্য মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও সুরক্ষায় আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মানবাধিকার কাউন্সিলের (এইচআরসি) ৫৫তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সেগমেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের পাশাপাশি সরকার জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়ন

মাহমুদ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে বলে সতর্ক করে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তাদের ধারাবাহিক মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনে নির্বিচারে বেসামরিক হত্যার তীব্র নিন্দা করেন এবং অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানান।

পবিত্র কোরআনের প্রকাশ্য অবমাননা এবং ইসলামোফোবিয়ার বারবার নিন্দা জানিয়ে তিনি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর জোর দেন।

মাহমুদ সর্বজনীনতা, নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা এবং অ-নির্বাচনের নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫ তম অধিবেশন ২৬ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় শুরু হয়েছে এবং ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।