২০২৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ২৩ বিলিয়ন ডলার, জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪

ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির কথা মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটো।

২০২২-২৩ অর্থবছরে, দেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার, তিনি আরও বলেন, চীনের সাথে সর্বাধিক বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৫.৪৮৯ বিলিয়ন ডলার।

একই অর্থবছরে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৭.১৬ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সাথে ৪৬৬ মিলিয়ন ডলার, মায়ানমারের সাথে ১১৬.২১ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সাথে ১৪.২৯ মিলিয়ন ডলার এবং আফগানিস্তানের সাথে ১.৪৯ মিলিয়ন ডলার।

ঢাকা-১৯ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

তিনি অবশ্য বলেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বাণিজ্য ঘাটতি নেই।

সিলেট থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরীর অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় কম ছিল।

সে সময় উদ্বৃত্ত চা রপ্তানি হতো। বর্তমানে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় ১০ কোটি কিলোগ্রাম। উৎপাদন ও চাহিদা প্রায় সমান,’ তিনি বলেন।

তিনি বলেন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে দেশে উৎপাদিত প্রায় সব চা অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘তাই রপ্তানির জন্য খুব বেশি উদ্বৃত্ত নেই।

তবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর ২০২৩ সালে ১০২.৯২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছিল।

এর মধ্যে ১০ দশমিক ৫ লাখ কেজি চা রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে মূল্য সংযোজনের পর পুনরায় রপ্তানির জন্য ছয় লাখ কেজি চা আমদানি করা হয়েছে,’ তিনি বলেন।

বরিশাল থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। .