গভীর সমুদ্রের পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পাম্প করা হবে

প্রকাশিত: ৩:১২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রথমবারের মতো সমুদ্রের তলদেশে জ্বালানি পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পরিবহন শুরু হতে যাচ্ছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাম্প করে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শরীফ হাসনাত জানান, সকাল ৯টায় পাম্পিং শুরু হবে এবং চট্টগ্রাম শোধনাগারে পৌঁছাতে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগবে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালে বড় জাহাজ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা ডিজেল খালাস করা হয়।

বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ডিজেল পাম্প করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এসপিএম প্রকল্পের অধীনে, দুটি সমান্তরাল পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে – একটি অপরিশোধিত তেলের জন্য এবং অন্যটি ডিজেলের জন্য। গভীর সমুদ্রে একটি ভাসমান মুরিং পয়েন্ট এবং মহেশখালীতে একটি স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল রয়েছে।

মহেশখালী উপকূল থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরের মুরিং থেকে অশোধিত তেল এবং ডিজেল পরিবহনের জন্য ১১০ কিলোমিটার পাইপলাইনটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের কাছে গত বছরের ২৫ জুন চালু করা হয়েছিল। প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা।

ইস্টার্ন রিফাইনারির কর্মকর্তারা জানান, ডিসেম্বরে সাগরে ভাসমান মুরিং থেকে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালে ডিজেল ও অপরিশোধিত তেল পরিবহন করা হয়।

কর্মকর্তারা আরও জানান, মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাম্প করতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা সময় লাগবে।

এই পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ডিজেল পরিবহন করা হচ্ছে, তারা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন।

পাইপলাইন প্রতি ঘন্টায় ৯০০ ঘনমিটার তেল পরিবহন করতে পারে।

যোগাযোগ করা হলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিজেল পরিবহন শুরু হলে এসপিএম প্রকল্প সফল হবে।

এরপর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আরেকটি পাইপলাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল পরিবহন করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গর থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত লাইটার জাহাজের মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহন কমে যাবে। এতে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।