আশুলিয়া হতে ৬ বছরের শিশু অপহরণের ০৫ দিন পর RAB -4 কতৃক চট্টগ্রাম হতে উদ্ধারঃ২ অপহরণকারী গ্রেফতার।

প্রকাশিত: ৩:২২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২, ২০২১

#আশুলিয়া_হতে_৬_বছরের_শিশু_অপহরণের_০৫_দিন_পর_RAB -4 কতৃক _চট্টগ্রাম_হতে_উদ্ধারঃ_২ #অপহরণকারী #গ্রেফতার।

২৩/০২/২০২১ ইং তারিখে অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, বিকালে কোন এক সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া এলাকা থেকে ৬ বছরের শিশু মোঃ আলী হোসেন অপহৃত হয়। পরবর্তীতে অপহৃত শিশুটিকে বাইপাইল এবং সায়েদাবাদ হয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। উক্ত ঘটনার পরের দিন অপহরকারী চক্র মোবাইল ফোনে শিশুটির পিতা-মাতার নিকট ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং উক্ত টাকা দুইদিনের মধ্যে না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলো। প্রাপ্ত অভিযোগের তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ২৮/০২/২০২১ তারিখ ১৯.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭ এর সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন সেকেন্দার কলোনী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে শিশু মোঃ আলী হোসেন’কে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী চক্রের নিম্নোক্ত ০২ সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

১। মোঃ জাকির হোসেন (২১), জেলাঃ লক্ষীপুর।
২। শান্ত মিয়া (২৯), জেলাঃ ময়মনসিংহ।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অপহরণকারী মোঃ জাকির হোসেন ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া এবং অপহরণকারীরা স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় প্যাকিং ম্যান হিসেবে কাজ করতো। চক্রটির মূলহোতা পলাতক আসামী মোঃ সোহান গ্রেফতারকৃত আসামীদের সাথে মুক্তিপণের মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা ভাগাভাগির চুক্তি করে শিশুটিকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। অপহরণের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক পলাতক আসামী মোঃ সোহান ভিকটিম শিশুটিকে চিপস্ ও খেলনা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাভারের কাঠগড়া পলানপাড়া এলাকায় শিশুটির নিজ বাসা হতে রিকশাযোগে পল্লীবিদুৎ এলাকায় নিয়ে যায়। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় তাদের সাথে মিলিত হয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে এবং পরবর্তীতে বাসযোগে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের সেকেন্দার কলোনীতে গ্রেফতারকৃত আসামী জাকিরের চাঁচার বাসায় নিয়ে আটক রাখে। অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা পলাতক আসামী মোঃ সোহান ভিকটিমের বাবার সাথে মুক্তিপণের বিষয়ে দর-কষাকষি করে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। একপর্যায়ে ভিকটিমের বাবা অপহরণকারীদের নিকট বিকাশের মারফত ১০,০০০/- টাকা প্রেরণ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গ্রেফতার আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘ দিন ধরে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা খোঁজ-খবর নিয়ে ধনী পরিবারের শিশুদেরই অপহরণ করে।

উক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতেও এইরুপ শিশু অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।