স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাজারে হামলা বন্ধের নির্দেশনা

প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
  • ‘শাহ পরাণ মাজারে হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না’
  • ‘আজান, নামাজের সময় সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে পূজা কমিটিকে’

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার বলেছেন, দেশে মাজারে হামলা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সচিবালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শাহ পরানের মাজারসহ বিভিন্ন মাজারে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন: “আমি শাহ পরানের মাজারে হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব যাতে কোনো হামলা না হয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও উত্তর সিটি করপোরেশনে যথাক্রমে ১৫৭ ও ৮৮টি মণ্ডপসহ এ বছর সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ৬৬৬টি পূজা মণ্ডপ নির্মাণ করা হবে।

গত বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৩১টি হলেও এ বছর এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলে পূজা উদযাপন পরিষদের বরাত দিয়ে তিনি জানান।

প্রতিমা তৈরির সময় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূজা মণ্ডপে কীভাবে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই পূজা উদযাপনের সুবিধার্থে এবং দুর্বৃত্তদের অপতৎপরতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো নিরাপত্তা বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। “এ বছরের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ভিন্ন হবে। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের কাছ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পালনের জন্য সময় দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা দিনে কমপক্ষে দুই এবং রাতে তিনজন হওয়া উচিত।”

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, পূজা কমিটিগুলোকে আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র ও সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এ সময় ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোস শর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।