মর্টার শেল, গোলাগুলির শব্দে ঝুমদুম সীমান্তে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যায়

প্রকাশিত: ২:১৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
  • পরিস্থিতি থমথমে থাকে
  • বুলেট, মর্টার শেল টুকরো টুকরো দুটি বাড়ির উপর পড়ে

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমদুম সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের উপকণ্ঠে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ অব্যাহত রয়েছে।

সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বান্দরবানের তুম্বুরু সীমান্তবর্তী দুটি গ্রামের প্রায় ৩০০০ বাসিন্দাকে অন্যত্র আশ্রয় নিতে প্ররোচিত করেছে।

রোববার সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা যায়।

এ সময় তুম্বুর সীমান্তে দুটি বাংলাদেশি বাড়িতে গুলি ও মর্টার শেল পড়ে।

নাইক্ষংছড়ির ঘুমদুম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, শনিবার বিদ্রোহীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর মিয়ানমার থেকে মোট ১৪ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কর্মী বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছেন।

তারা বান্দরবানের তোরমুতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এ বিষয়ে বিজিবি পরদিন সংবাদ সম্মেলন করবে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।

তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদও বিজিবির কাছে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নাফ নদীর কাছে সীমান্তে আরাকান আর্মি (এএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর সাথে ব্যাপক বন্দুক, মর্টার শেল এবং বিস্ফোরক রকেট লঞ্চার ফায়ারে নিয়োজিত হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। .

ঘটনার সময় হাতে গুলিবিদ্ধ হন প্রবীর ধর (৬৫) নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিক।

এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ পাঁচটি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে।

তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা শাহাজান মিয়া বলেন, “মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক মর্টার গোলা চলছে। ফলে এখানকার মানুষ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এ এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।”

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-২) ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সীমান্তে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। আর কোনোভাবেই অনুপ্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।”

জানতে চাইলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, আমি সীমান্তে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলেছি।

২৭শে জানুয়ারী বান্দরবানের ঝুমদুম, তুমব্রু এবং টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগের সৃষ্টি করে।

এর আগে আরাকান আর্মি রাখাইনের একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর পরে, আশেপাশের গ্রামগুলিতে তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়, যেমনটি মিডিয়া আউটলেট ইরাবদির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।