টেকনাফে মিয়ানমার থেকে বন্দুকের গুলিতে শিকার নৌকা এসেছে পূর্ব সংবাদ পূর্ব সংবাদ প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৫ জন শাপুরী দ্বীপ বিরতিহীন বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে শনিবার মিয়ানমার থেকে টেকনাফের শাপুরীদ্বীপের জেটিতে গুলিবিদ্ধ এক নারীসহ পাঁচজন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা এসেছে। বিকেল ৪টার দিকে তারা জেটিতে পৌঁছান। সেখানে নৌকার মাঝিরাও উপস্থিত ছিলেন। টেকনাফের শাপুরীদ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালায়। আমরা শুনেছি তারা এখানে চিকিৎসার জন্য এসেছে।” স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম বলেন, নৌকায় মোট পাঁচজন ছিলেন। এদিকে, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির কারণে টেকনাফের শাপুরীদ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে আর কোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা কঠোর টহল দিচ্ছে। শনিবার, মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দে বাংলাদেশের পাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে, বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সীমান্ত সড়কে জড়ো হন স্থানীয়রা। সীমান্তে নাফ নদীর তীরে দারুশশরিয়াহ আল-ইসলামিয়া বোরো মাদ্রাসার খতিব মাওলানা আশফাক বলেন, “ফজরের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে মর্টার শেলের আওয়াজ শুনতে পাই। মাদ্রাসার ছেলেরা জেগে ওঠে। শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে ঘুম থেকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। “আমরা ভয়ে বাস করছি। কারণ বিস্ফোরণের শব্দে মাদ্রাসা ভবন কেঁপে ওঠে,” তিনি যোগ করেন। ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, সকাল থেকে নাফ নদীর ওপার থেকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। জেলেরা আমাদের জানিয়েছেন, মিয়ানমারের মংডু, ফাডংচা, নরবোনিয়া, নুরুল্লাপাড়া ও হাসুরতাসে যুদ্ধ চলছে। টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সকালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পেয়েছি। তবে আমরা সীমান্তে টহল বাড়িয়েছি। শাপুরীদ্বীপ জেটির ইনচার্জ মোঃ সিদ্দিক বলেন, “গত দুই দিনের তুলনায় গুলির শব্দ কিছুটা কম শোনা যাচ্ছে। গত দুই দিন ধরে মর্টার শেলের শব্দে কেঁপে উঠছিল সীমান্ত এলাকা। ডিউটির সময় বিকট শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে মনে হয় এই মুহূর্তে এখানে বুলেট বা মর্টার শেল ছুটছে। এদিকে, টেকনাফের হোয়াইকং, হ্নীলা ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা গেলেও শনিবার সকাল থেকে তারা কোনো গুলির শব্দ শুনতে পাননি। SHARES Uncategorized বিষয়: