হাইকোর্টের নতুন বিচারপতি নিয়োগের বিল আনা হবে : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:১১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
  • ‘সংবিধানে বলা আছে বিচারক নিয়োগের জন্য আইন থাকবে’
  • রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করছেন মন্ত্রী

বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সংসদে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের বিল আনা হবে।

সংসদে কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে বিচারক নিয়োগের জন্য একটি আইন থাকবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগে সাত বিচারপতি থাকতে হবে এমন কোনো বিধান সংবিধানে নেই।

“আগে ১১ জন বিচারক ছিলেন। রাষ্ট্রপতি শীঘ্রই আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগের উদ্যোগ নেবেন,” তিনি বলেন।

একইভাবে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিচারিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিচারকদের নতুন পদ সৃষ্টির কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের আন্তরিক উদ্যোগে নিম্ন আদালতে বিভিন্ন পদমর্যাদার বিচারকের ২৫৯টি পদ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আদালত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রায় ১ হাজার ৯৯৯টি সহকারী পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, মন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিচারকের পদ মাত্র ২৫টি এবং সহায়ক কর্মচারীর পদ ১৩৩টি।

তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিম্ন আদালতে প্রায় ১৪২৬ জন বিচারক (সহকারী জজ) নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যদিকে চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অধস্তন আদালতে মাত্র ১৯০ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

হক বলেন, ১৬ তম বিজেএস-এর মাধ্যমে প্রায় ১০৪ জন বিচারকের সুপারিশ করছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন।

তিনি বলেন, আরও ১০০ জন বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে।

লক্ষ্মীপুর থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের জবাবে হক বলেন, ভাড়াটিয়াদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য বর্তমানে ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১’ বিদ্যমান রয়েছে।

এ অবস্থায় বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নতুন কোনো আইন করার পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানান তিনি। তবে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের বিধান পর্যালোচনা করা হবে।

ভোলা থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আইন কমিশন গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকার ১৬৭টি সুপারিশ পেয়েছে (সংশোধনসহ খসড়া, আইনের খসড়া, বিলের খসড়া, বিশেষ প্রতিবেদন, আইনি মতামত) পাঠানো হয়।

এই ৮৮টি সুপারিশের মধ্যে ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ/আংশিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, তিনি বলেন।