মিয়ানমারে ব্যাপক গুলিবর্ষণ অব্যাহত থাকায় টেকনাফের বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
  • রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গুলির শব্দ শোনা যায়
  • উচ্চ সতর্কতায় কোস্টগার্ড

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের শাপুরী দ্বীপে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

শনিবার রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ পাওয়ায় দ্বীপে বসবাসকারী মানুষ আবারও ঘুমহীন রাত কাটিয়েছেন।

ওই এলাকায় বসবাসকারী বেশ কয়েকজন মানুষ জানান, তারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এবং শব্দের কারণে তাদের ঘর কাঁপতে থাকে।

শাপুরী দ্বীপ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা থেকে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ পাচ্ছি। গোলাগুলির শব্দে আমার বাড়ি ও আশপাশের বাড়িগুলো কেঁপে ওঠে।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, তারা ভারী মর্টারের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। নিয়মিত বিরতিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড চট্টগ্রামের পূর্ব জোনের মিডিয়া অফিসার লেঃ তাহসিন রহমান বলেন, “অন্যদিকে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমরা সীমান্ত দিয়ে শাপুরী দ্বীপে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদীতে টহল জোরদার করেছি। কাউকে আর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।” আমরা ইতিমধ্যে ২০০ অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছি। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলায়ও উত্তেজনা বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।

বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল পড়ে, যার ফলে দুজন নিহত এবং আরও অনেক আহত হয়। এরপর মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াও মোকে তলব করে বাংলাদেশ।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেনও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

উপরন্তু, ২৩ জন মিয়ানমার নাগরিককে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংঘর্ষের মধ্যে যা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।