চট্টগ্রাম বিভাগ: ১৯টি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আশা করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
  • চট্টগ্রাম বিভাগে মোট আসন ৫৮টি

কম ভোটার উপস্থিতির উদ্বেগের মধ্যে বাংলাদেশের ১২তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮টি আসনের মধ্যে ১৯টিতে সংসদ নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান। এ আসনে সবচেয়ে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। আরও পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হবে মাহবুব ও গিয়াসের মধ্যে।

চট্টগ্রাম-৯ এ লড়াই হবে ত্রিমুখী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হচ্ছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। ১৪ দলীয় জোটের বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী স্বতন্ত্র প্রার্থী। শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ বিএসপি থেকে প্রার্থী। এ ছাড়া আরও পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত খাদিজাতুল আনোয়ার, নজিবুল বাশার ও সাইফুদ্দিনের মধ্যে।

চট্টগ্রাম-৫ এ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে লড়ছেন সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ আসনে আনিসুলদের সবচেয়ে বড় বাধা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৮ আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সোলায়মান আলম শেঠ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত আব্দুস সালাম শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে আরেক শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী।

মূল লড়াইয়ে রয়েছেন আব্দুস সালাম, বিজয় কুমার ও সোলায়মান শেঠ।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম। মহিউদ্দিন বাচ্চু এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী। এ ছাড়া আরও সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মঞ্জুর ও বাচ্চুর মধ্যে।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-১২ আসনে প্রার্থী। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়া শামসুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া এ আসনে আরও পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মোতাহেরুল ও শামসুল হকের মধ্যে।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মোঃ নেজামুদ্দিন নদভী। আব্দুল মোত্তালিব এ আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১, ২ ও ৩ আসনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন নৌকার প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় প্রার্থী নেই। আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন মঈন উদ্দিন মঈন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মইন ও জাতীয় পার্টির রেজাউল ইসলামের মধ্যে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য র‌্যাম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আবারও নৌকার প্রার্থী। ফিরোজুর রহমান অলিও এ আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী।

কুমিল্লা

কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেম খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আনজুম সুলতানা সিমাও এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ আসনে আরও ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান শক্তিশালী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

চাঁদপুর

চাঁদপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এমপি শফিকুর রহমান। তার বিপরীতে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জালাল আহমেদ। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন বিএনপি’র শাহজাহান, যিনি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য। এ আসনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

নোয়াখালী

নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকও এ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। মানিক প্রার্থী হিসেবে নতুন হলেও মোর্শেদের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ১৪ দলীয় জোটের সদস্য হিসেবে নৌকা নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীম এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ।

কক্সবাজার

কক্সবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নেই। কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইব্রাহিমের বিপরীতে থাকবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত জাফর আলম এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

বান্দরবান

বান্দরবানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য উ শেই সিং। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এটিএম শহীদুল ইসলাম।