বিদ্যুৎ উৎপাদনে কীভাবে হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে সরকার : নসরুল

প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
  • ‘অকৃষি জমির প্রাপ্যতা নবায়নযোগ্য শক্তি বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে’
  • ‘সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহই মূল লক্ষ্য’

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে এক কর্মশালায় তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ বিভাগ কীভাবে প্রচলিত শক্তির উৎসের পাশাপাশি হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়াকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে”।

তিনি কর্মশালায় জানান, শিগগিরই পরমাণু বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসবে। তিনি আরো বলেন, প্রায় ১২,০৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

মার্কিন প্রযুক্তি ও আর্থিক কৌশলগত গবেষণা সংস্থা ব্লুমবার্গ এনইএফ এই কর্মশালায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎস এবং এর ব্যয় নিয়ে গবেষণা উপস্থাপন করে।

তিনি বলেন, অকৃষি জমির প্রাপ্যতা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সমস্যা।

“আমরা অনশোর এবং অফশোর বায়ু শক্তি নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছি। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের আধুনিকীকরণ এবং গ্রিড সিঙ্ক্রোনাইজেশনের উপর এখন বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে”, তিনি যোগ করেন।

কর্মশালায় ব্লুমবার্গের পক্ষে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্লুমবার্গের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান ডঃ আলী ইজাদি, দক্ষিণ এশিয়ার মার্কেট লিডার ইশু কিকুমা এবং সিনিয়র সহযোগী তরুণ ব্লাকৃষ্ণান।

তারা ইউটিলিটি-স্কেলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে সমর্থন, ছাদ এবং ভাসমান সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির কাজের জন্য প্রশিক্ষণের উপর জোর দেয়।

তারা দেখিয়েছেন যে হাইড্রোজেনের সাথে অ্যামোনিয়া বা প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে কয়লা মিশিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমানো যেতে পারে, তবে খরচ বেশি হবে, অন্যদিকে সৌর ব্যাটারি বা বাতাসের সাথে ব্যাটারির ব্যবহার অনেক বেশি সাশ্রয়ী।